
Raniar Rannaghar
Raniar Rannaghar
by Indira Mukhopadhayay|
Mandas Publication
ভূমিকা উচ্চশিক্ষিতা দুই বোন রানিয়া আর মিঠি যেন ডায়ামেট্রিকালি অপোজিট। রানিয়া ছোটো থেকেই রান্নাঘর অন্তঃপ্রাণ। ওদিকে ইঞ্জিনিয়র মিঠি রান্নাঘরমুখো হয় না জন্মে। তার মতে মা, দিদিমা, ঠাকুমাদের মতো সারাদিন রান্নাঘরে সময় দেওয়া? নো ওয়ে। যেখানে বাইরে এতসব ফুড জয়েন্ট। মিঠির মনোভাব এমনি। রানিয়া ঘরে বসে থাকে, তার মতো চাকরিবাকরি তো আর করে না, তাই রান্নাঘর নিয়েই পড়ে থেকে সময় কাটায় সারাদিন। ওদিকে ঘর-গেরস্থালি সামলে টুকটাক রান্নাবান্না রানিয়ার ধাতে। ঠিক মা অনসূয়ার টু কপি যেন। বিপরীত মেরুর দুই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ির তির্যক বাক্যবাণ শোনায় ছাড়ানছোড়ন নেই। রানিয়া রান্নাঘরে ঢোকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে। তার ভালো লাগে রান্না করতে। সেই জন্য কথাও শুনতে হয়। তার নাকি নিজের হাতে রেঁধেবেড়ে খাওয়ায় বড়ো সুখ। ওদিকে মিঠি রান্নার লোক না এলে হোম ডেলিভারিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জন্মেও রান্নাঘরের ছায়া মাড়ায় না। শাশুড়ি বেশ মনোক্ষুণ্ণ তাতে। 'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে'-প্রায়ই খোঁটা খায় মিঠি। ডেটা সায়েন্টিস্টের বড়োসড়ো চাকরি সামলে সম্ভবও নয় তার পক্ষে। তাই বলে ছুটির দিনে কিংবা রোজ অফিসে বরের বা নিজের টিফিন বানানো? নাহ! তাও বানাবে না সে। জেদ তার। ছোটো বোন রানিয়ার রান্না-খাওয়া নিয়ে আদিখ্যেতা দেখলে গা জ্বলে তার।
Raniar Rannaghar
by Indira Mukhopadhayay
Mandas Publication




